বোয়ালখালী আকাংকিত স্বপ্ন বাস্তবতায় রুপে হতেযাচ্ছে কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতু – প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ মিছিল

প্রভাস চক্রবর্ত্তী,বোয়ালখালী: 

আমাদের প্রধান উপদেষ্টা, নভেল বিজয়ী, চট্টগ্রামের অহংকার ড: মোহাম্মদ ইউনুচ গতকাল কালুরঘাট সেতু নির্মাণের ভিত্তি স্থাপনের পর দিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে বোয়ালখালী কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ ও বোয়ালখালী নাগরিক সমাজ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেন।

সকাল ১০ টায় কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে আনন্দ মিছিল সেতুর পূর্ব পাড়ে গিয়ে বোয়ালখালী কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তফা নঈম এর সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট, বিশিষ্ট প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসাইন, সাংবাদিক মনজুর মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, বিএনপি নেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী, এস এম সেলিম, মোহাম্মদ রফিক, হাজী আবু আকতার, আ ন ম ইলিয়াস, নুরুল আবসার, ফায়াজ মেহের, ইব্রাহিম তালুকদার, গোলাম হোসেন নান্নু, ইব্রাহিম চৌধুরী মানিক বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, এবং বিনয়বাঁশী শিল্পগোষ্ঠির পক্ষে সাংবাদিক বিপ্লব জল দাশ প্রমুখ।

বোয়ালখালী কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মুস্তফা নঈম বলেন, ‘একটি সেতুর জন্য বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ অপেক্ষায় ছিলাম। সেই বহুল প্রত্যাশিত ‘কালুরঘাটে রেল ও সড়ক সেতু’ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এ জন্য আমরা শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। একই সাথে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সকল উপদেষ্টাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

তিনি আরো জানান, বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ ২০১৩ সাল থেকে নতুন সেতুর দলমত নির্বিশেষে একটি প্লাটফর্মে এনে এ জনদাবিকে জোরালো করে। এরই ধারাবাহিকতায় এই আনন্দ মিছিল। শুক্রবার ১৬ মে প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

সুদীর্ঘ সময় থেকে একটি সড়ক সেতুর অভাবে বহু গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য শহরে যাওয়ার পথে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তেই মৃত্যু বরন করার মতো দুঃখ জনক ঘটনার স্বাক্ষী এই বোয়ালখালী মানুষ। সেতু আন্দোলনের শুরু থেকে যারা মাঠে ছিলেন যারা নৈতিক ও মানসিক সহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছেন তাদের অনেকেই আজ এই আনন্দের দিনে আমাদের মাঝে নেই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বক্তরা বলেন বহু চড়াই-উতরাই শেষে স্বপ্নের কালুরঘাট সেতু আজ বাস্তবতা। বক্তরা আশা করে সেতুর এই দৃশ্যমান কাজ দ্রুত নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাবে। সেতুর মাধ্যমে বোয়ালখালী পটিয়া এলাকায় নতুন যুগের সূচনা হবে। শিল্প উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে। বক্তরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শুরু করবার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান। সভাশেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন মোহাম্মদ সেলিম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *