বোয়ালখালী আল্ল্যার অউন পোয়ানি উৎসবে প্রধান অতিথি বল্লেন – এটা আমাদের বাঙ্গালীর ঐতিহ্য

প্রভাস চক্রবর্ত্তী:

 

বোয়ালখালী কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে সামনে ১৭ জানুয়ারী আল্ল্যার অউন পোয়ানি উৎসব খুবই আনন্দ ও উদ্দীপনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।ঢোলের তালে তালে,  এটার উদ্বোধন করা হয়।

সুব্রত দ্ত্ত রাজুুর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি এবং উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালখালী থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারোয়ার, এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নাগরিক কমিটির পক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজক, কাজী আল আমিন জাবেদ ছাবেরী,মোহাম্মদ আলি ভাই,ওমর ফারুক, নাছের লিটন চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, এলাকায় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগন,সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গ্রামীন লোকজ সংস্কৃতি হিসেবে ভাপা পিঠা,খেয়ে সবাই আনন্দিত।

উদ্বোধন থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারোয়ার বলেন, এটা আমাদের বাঙ্গালী ঐতিহ্য, এটাকে ধরে রাখতে হবে। পড়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশ করেন, প্রিয়ঞ্জিৎ চক্রবর্ত্তী, চিন্ময় চৌধুরী, পম্পি দত্ত, জনপ্রিয় বাউল শিল্পী মোজাহের ইসলামের এক সংগীতে দর্শক মাতিয়ে রাখে।

শীতের সকালে খড়-কুটো দিয়ে আগুন পোহানো গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য। সূর্য ওঠার সঙ্গে-সঙ্গে বাড়ির আঙিনায় সকাল সন্ধ্যায় আগুন পোহানোর দৃশ্য দেখা যায়। প্রচণ্ড শীতে আগুন পোহানোর দৃশ্যটি সবার কাছে পরিচিত, সেটা হলো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন পোহানো। এমন চিত্র শুধু গ্রামেই দৃশ্যমান।

প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। শীতবস্ত্র ও খাবারের সংকটে হাজার-হাজার দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় সকালে কৃষরা বিভিন্ন সবজিখেতের জমিতে পরিচর্যা করতে যেতে পারেনা। যার জন্য বিভিন্ন সবজি পরিচর্যার অভাবে জমিতে ফসল নষ্ট হয়ে যায়।

শীতের প্রকোপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ আগুন পোহায়। আমরা জানি যতক্ষণ আগুলের পাশে থাকবো ততক্ষণ শীত থেকে বাঁচা যাবে। শীতের সকাল সন্ধ্যায় আগুন পোহাতে আমরা অনেক আনন্দ পাই। এটা নতুন কিছু নয়! আগুন পোহানো এটা পুরাতন প্রথা। এ ঐতিহ্যকে সবাই ধরে রাখতে হবে। আগামীতে এ আয়োজন আরো বড় হবে এটা সবাই আশা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *