প্রভাস চক্রবর্ত্তী,বোয়ালখালী:
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মনসা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে ঊর্মি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঊর্মি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গা গ্রামের অটোরিকশাচালক আমানত উল্লাহর মেয়ে। তিন বছর আগে পটিয়ার মনসা এলাকার ‘নতুন হুজুর বাড়ি’র নির্মাণ শ্রমিক মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
ভুক্তভোগীর মা কুনছুমা বেগম জানান, ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী যৌতুক ছাড়া বিয়ের প্রস্তাবে মোজাম্মেলের সঙ্গে ঊর্মির বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর ১০০ জন বরযাত্রীর আপ্যায়ন ও ফার্নিচারসহ নানা দাবি আদায় করে তারা। এরপরও বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঊর্মিকে নির্যাতন করত।
সম্প্রতি আম-কাঁঠাল দেওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমার মেয়েকে ওরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। সে আত্মহত্যা করার মেয়ে না।”
ঊর্মির বাবা আমানত উল্লাহ জানান, “আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোজাম্মেল ফোন করে জানায়, আমার মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।”
এ বিষয়ে স্বামী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “আমি প্রতিদিনের মতো সকালে কাজে বের হয়ে যাই। পরে বাসা থেকে ফোনে জানানো হয় ঊর্মি আত্মহত্যা করেছে।”
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা জানান, “খবর পেয়ে আমরা পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।