জীবন খান;
দেশে ভুয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য এক ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ডা. এস এম সারওয়ার নামের এক ব্যক্তি, যিনি রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় নিজেকে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। ভুয়া পরিচয়ে চিকিৎসা, কোটি টাকার মালিক ডা. এস এম সারওয়ারের আসল পরিচয় জানার জন্য অনুসন্ধান চালালে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি মূলত একজন এসএসসি পাস ব্যক্তি, যিনি কিছুদিন হোমিওপ্যাথিক কলেজে ক্লাস করার পর নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি “গণস্বাস্থ্য হোমিও চিকিৎসা” নামে একটি চেম্বারে ক্যান্সারসহ ৪০টিরও বেশি রোগের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তার চেম্বার রাজধানীর বায়তুল ভিউ টাওয়ারের ১২ তলায় অবস্থিত। শুধু ঢাকাই নয়, হবিগঞ্জ জেলার পিটি আই রোডেও তার আরেকটি চেম্বার রয়েছে। আইনি পদক্ষেপ এবং প্রাণনাশের হুমকি: এস এম সারওয়ারের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান পাখি আইনি পদক্ষেপ নেন। তিনি প্রথমে ৩ ডিসেম্বর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান, যেখানে এস এম সারওয়ারের ডিগ্রি ও বৈধ কাগজপত্র চাওয়া হয়। ১৫ দিনের মধ্যে কোনো জবাব না পেয়ে দ্বিতীয়বার ২৫ ডিসেম্বর আরেকটি নোটিশ পাঠানো হয়। তবে এস এম সারওয়ার উভয় নোটিশেই কোনো সাড়া দেননি। সে স্বঘোষিত ১৮ টি মামলার আসামী, ভিবিন্ন সময় একাধীক বার দীর্ঘ মেয়াদে জেল খেটেছেন তিনি। আইনজীবীর অভিযোগ, নোটিশ পাঠানোর কারণে এস এম সারওয়ার তার ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পাশাপাশি সামাজিকভাবে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এস এম সারওয়ারের অধীনে একটি সুসংগঠিত দালাল চক্র কাজ করছে। তারা গ্রামাঞ্চলের অসহায় রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে তার চেম্বারে নিয়ে আসে। প্রতি রোগীর জন্য এই দালালদের মোটা অংকের টাকার অর্ধেক কমিশন দেওয়া হয়। ডা. এস এম সারওয়ার নিজেকে “ক্যান্সার গবেষক অধ্যক্ষ” বলে দাবি করলেও তার কোনো বৈধ শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তিনি ভিজিটিং কার্ড এবং সাইনবোর্ডে এইসব ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করেন। অনেকেই চিকিৎসার আশায় তার চেম্বারে এসে প্রতারিত হয়েছেন এবং তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টরা এস এম সারওয়ারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এই ধরনের প্রতারকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার জন্য ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন। সংবাদটি গত ২৯ ডিসেম্বর দৈনিক জনতার প্রকাশ হওয়ার পর ১৩ জানুয়ারি দুপুরে বায়তুল ভিউ পুরানা পল্টন টাওয়ারের ১১ তালায় গণসাস্থ্য হোমিও চেম্বারে সিনিয়র সাংবাদিক আবু জাফরের ছবি দিয়ে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সাংবাদিক আবু জাফরকে প্রতারক, চাদাবাজ ওহলুদ সাংবাদিক উলেস্নখ করে দেয়া হয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। অথচ সাংবাদিক আবু জাফর দীর্ঘদিন যাবদ সাংবাদিকতায় অত্যšত্ম সুনামের সহিত কাজ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের বিষয় জানার জন্য এস এম সারওয়ারের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ফোটো সাংবাদিক মিন্টুকে দেখিয়ে দেয়। মিন্টু কোনো কথা না বলে চলে যায়। পরবর্তিতে সুজন নামের আরেক সাংবাদিককে পাঠানো হয়, তিনি পত্রিকায় আছেন জানতে চাইলে আমি কোনো পত্রিকায় নাই। পরবর্তিতে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের ডাক্টার সাহের গ্যারান্টি দিয়ে চিকিৎসা করেন । তিনি প্রথমে রোগির কাছ থেকে ৩৫০০০ হাজার টাকা নেয়া হয় এরপর চার মাসে ৬০০০০ টাকার ওষুধ খেলেই ক্যান্সার শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকারের উচিত জরম্নরি ভিত্তিতে কথিত ক্যান্সার চিকিৎসক ডা. এস এম সারওয়ারের বিষয় সঠিক ভাবে তদšত্ম করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া । তা না হলে গ্রাম অঞ্চলের গরীব মানুষ গুলো প্রতারিত হতে খাকবে।