নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মুড়াপাড়া সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, শিবির শাখা কর্তৃক স্থাপিত হেল্প ডেস্কে ছাত্রদল নামীয় কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল যুবক সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এসময় তারা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর, ব্যানার ও কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে এবং উপস্থিত শিবির কর্মীদের শারীরিকভাবে নাজেহাল করে জোরপূর্বক আটকে রাখে। কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী হামলার ছবি ও ভিডিও ধারণ করলে তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফুটেজ মুছে ফেলা হয় এবং হুমকি ধমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার ও জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, “শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য হেল্প ডেস্ক স্থাপন একটি কল্যাণমূলক উদ্যোগ। সেখানে হামলা জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে আঘাত করেছে। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের সময়কার ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে।”
নেতৃবৃন্দ কলেজ কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। একই সঙ্গে বিএনপি নেতাদের প্রতি ছাত্রদলকে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানান।
হামলার প্রতিবাদে বিকেলে ইসলামী ছাত্রশিবির মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান জানান, অসুস্থতার কারণে আজ কলেজে গিয়ে চলে এসেছেন। তিনি বলেন, “ছাত্রদল সবসময় হেল্প ডেস্কের আয়োজন করে থাকে। শিবির আয়োজন করেছে বা তাদের ওপর হামলা হয়েছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই।