এ এম এম আহসান:
ভূমিদস্যুতা, হত্যাচেষ্টা ও ফৌজদারি অপরাধের একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারি চাকরিতে বহাল রয়েছেন নুরুদ্দিন মিয়া। সরকারি পিজি হাসপাতালে কর্মরত এই ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক ছাত্র হত্যাচেষ্টার মামলায় মোহাম্মদপুর থানায় অভিযুক্ত আসামি। প্রশাসনের নীরবতা ও প্রভাবশালী পরিচয়ের সুযোগে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন—এতে স্থানীয় জনগণসহ সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল ধানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নুরুদ্দিন মিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বহু বছর ধরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষ ও প্রবাসীদের জমি জবরদখল করে ভুয়া দলিল ও কাগজপত্র সৃজন করে বিক্রি করেছেন বা নিজ নামে দলিল করে নিয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি ফৌজদারি মামলা (মামলা নং: সিআর ৯৩১/২৪/২০২৪) বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৪, ১৪৭, ১৪৯, ১৫৯, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৭৯, ৩৪ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে বেআইনি সমাবেশে অংশগ্রহণ, মারধর ও গুরুতর আঘাত প্রদান, চুরি, হত্যাচেষ্টা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র।
আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি চাকরিজীবীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু নুরুদ্দিন মিয়াকে দায়িত্ব থেকে এখনো অপসারণ না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলা বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে নুরুদ্দিন মিয়া প্রশাসনিক তদারকি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তারা দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগ যাচাই, অভিযুক্তকে সাময়িক বরখাস্ত এবং দখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করার দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—
-
হত্যাচেষ্টা ও জমি দখল মামলার আসামি নুরুদ্দিন মিয়া এখনো সরকারি চাকরিতে বহাল!
-
‘ভূমিদস্যু’ সরকারি কর্মচারী: প্রশাসনের নীরবতায় প্রশ্ন
-
ফৌজদারি মামলার আসামি নুরুদ্দিন মিয়া—কেনো এখনো পদে বহাল?
-
ভূমিদস্যুতা থেকে হত্যাচেষ্টা—অভিযোগের পাহাড়, তবু বহাল তবিয়তে নুরুদ্দিন মিয়া