
আরাফাত হোছাইন :
বিএমচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলম(সাবেক চেয়ারম্যান) মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পাওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গণ সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
চকরিয়া পৌর শহরস্থ সিস্টেম কমপ্লেক্সে ১৬ দিন কারাভোগের পর জামিন নিয়ে তিনি অবস্থান করলে শতশত নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহরে এসে ফুলেল শুভেচছা জানান। পরে গাড়ি বহর নিয়ে চকরিয়া পৌরসভা ও ইউনিয়নের সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোটরসাইকেল শোডাউনে আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিএমচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাস্টার নবী হোছাইনের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন রানা ও দপ্তর সম্পাদক জুনাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে গণ সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ অনার্স এমএ।
তিনি বলেন, বদিউল আলম জামায়াতে, বিএমপির আমলের নির্যাতিত নেতা। আওয়ামী লীগের জন্য তিনি ঘর সংসার ফেলে রাজপথে ছিলেন। আওয়ামী লীগ দল তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী, সুসংগঠিত করার জন্য কাজ করতে গিয়ে বিএনপি জামাতের মামলায় কারাগারে গিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা থাকা অবস্থায়ও এ আ.লীগ নেতাকে বিএনপি জামাতের আমলের মতো মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আমাদের নেতারা আর কত মিথ্যা মামলায় শিকার হবে? এরকম হলে আ.লীগের দূ সময়ে কারা নির্যাতিত নেতাদের জীবন যাপন করা কঠিন থেকে কঠিন হয়ে যাবে। আর যেন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা না হয় দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
গত জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছি। আপনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফলাফলের আগে ভোট বর্জন করি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ ইবরাহীম বীর প্রতিককে কক্সবাজার -১ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকে একটি মহল পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা ঘটিয়ে আমার সমর্থকদের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে।
এদিকে গত ৭ জানুয়ারি বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খোকন হামলার শিকার হন। তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলমকে প্রধান আসামি করে আহতের সহোদর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
কারানির্যাতিত নেতা বদিউল আলম বলেন, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ঘটনা হয়ে সেদিন প্রশাসনের জটিলার কারণে বাড়িতে অবস্থান করছি। কোন জামেলা হবে বলে আমার স্ত্রী আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেই নি। তবে কারা হামলা করছে এবং কেন করেছে এব্যাপারে কোন অবগত ছিলাম না। ঘটনার সঠিক তদন্ত না করে একটি কুচক্রী মহল আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও হয়রানি করার উদ্দেশ্যে যুবদলের নেতাকে দিয়ে মামলাটি করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কারাগারে সময় কাটানো হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলার আসামি হতে হচ্ছে। আগামীতে যেন আ.লীগের নেতাকর্মীরা এধরণের হয়রানির শিকার না হয় আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
ইফতার ও গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মকছুদুল হক ছুট্টু, চকরিয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আজিম বুলু, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন মনু এমইউপি, ৮ নং ওয়ার্ড় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও নব নির্বাচিত এমইউপি এনামুল হক,১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম,৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বারেক হোসেন মানিক ও সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউল হক,৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার কামাল (প্রকাশ সোনা মিয়া), ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকের হোসাইন,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা গিয়াস উদ্দিন,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফরহাদ,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জিহাদসহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।