
মনজুরুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টারঃ
তীব্র তাপপ্রবাহে পোলট্রি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি।টানা ১০ দিন ধরে দিনের বেলা ময়মনসিংহের নান্দাইলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর থাকছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে পোলট্রি খামারের মুরগি। কমতে শুরু করেছে মাংস ও ডিমের উৎপাদন। খামারিরা জানান, মুরগি রক্ষায় খামারের ঘর সার্বক্ষণিক শীতল রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। দিনে চার-পাঁচ বার পানি স্প্রে করছেন। এছাড়া মুরগি বাঁচানোর জন্য স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধ খাওয়াচ্ছেন।
বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের সগ্রাদী বেপারী বাড়ির গ্রামের পোলট্রি খামারি মোঃ জাকির হোসেন বললেন, গরমে মুরগি হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। আমার নিজের খামারের ৯০০ ব্রয়লার মুরগি ছিল। মারা গেছে প্রায় ৫০টি।এমন তাপ থাকলে মইরে শেষ হয়ে যাইবো। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। যেরমভাবে মুরগি মরতেছে, এমন গরম আরও থাকলে মুরগি টিকানো কঠিন হয়ে যাবে। আমার পথে বসা লাগবে।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার ও লেয়ার খামারে মুরগি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কর্মচারীরা। কেউ মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করছেন, কেউবা ডিম সংগ্রহ করছেন। খামারের ভেতর ঠান্ডা রাখতে চলছে বৈদ্যুতিক ফ্যান। কিন্তু তাতেও যেন কাজ হচ্ছে না। মুরগিগুলো হাঁসফাঁস করছে গরমে।
পোলট্রি খামারের শ্রমিক হাদিস মিয়া জানান , গরম শুরুর পর থেকেই খামারে মুরগির ছটফটানি শুরু হয়েছে। ফ্যানের বাতাসেও ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। প্রতিদিন কয়েকবার করে মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে তাতেও কাজ হচ্ছে না। এরপরও মুরগি মারা যাচ্ছে। তাদের খামারে এক হাজার ৫০০টি লেয়ার মুরগি রয়েছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত ৩৫ টি মুরগি মারা গেছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ৫টি মুরগি মারা গেছে।
নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল সদর ইউনিয়নের লেয়ার মুরগির খামারের মালিক আলাদিন বলেন, গরম শুরুর পর থেকে মুরগিকে ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।এতে ডিমের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। গরমে স্ট্রোক করে মুরগি মারা যাচ্ছে।নান্দাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হারুনর রশীদের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।