
মেহেরপুরে জামায়াত নেতা তারিক মো: সাইফুল ইসলামকে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার ঘটনায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তৎকালীন পুলিশ সুপার একে এম নাহিদুল ইসলামসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
আজ সোমবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়ল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতের জামায়াত নেতা তারিক মো: সাইফুল ইসলামের ভাই তাওফিকুল ইসলাম এ মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।
এামলার অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন এ এস পি মোস্তাফিজুর রহমান, এ এস পি আব্দুল জলিল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, সদর এসি ল্যান্ড ফরিদ হোসেন, গাংনী র্যাব ক্যাম্পের কামান্ডার ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেন, ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আসাদ মিয়া, ওসি ডিবি বাবুল আক্তার, সদর থানার ওসি রিয়জুল ইসলা, ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম, এএসআই আব্দুল হান্নান, কনস্টেবল সাধন কুমার, নারদ কুমার, ডিবির কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, সাবেক ইউপি সদস্য দরুদ আলী।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৪ সালে তারিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলার সহকারী সেক্রেটারি ছিলেন। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা থাকায় ভিন্ন মতের নেতৃত্বকে সমূলে বিনাশের লক্ষে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. ফারুফ আহম্মেদ বিজন বলেন, সাইফুল ইসলাম তারেকের নামে কোন মামলা না থাকলেও আওয়ামী লীগের কিছু রাজনীতিবিদের প্ররোচণায় ও উৎসাহে প্রশাসন তাদের খুশি করার জন্য তারেককে নিশংসভাবে হত্যা করে। সেই সময় আমরা মামলা করার চেষ্টা করলে আমাদের মামলা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে ন্যায়বিচার পাবার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তাই আমরা আদালতে এই হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। বিজ্ঞ আদালত এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন।