সুমন খান:
সংবাদ প্রকাশের পর দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সংবাদ কর্মীকে দেখে নেয়ার হুমকি। রাজধানীর মিরপুর কাফরুল থানার একের পর এক চাঁদাবাজিও লুটপাটসহ মাদকসম্রাট চামাইরা ওরফে (বাবু) নামে পরিচিত ! তার অত্যাচারে কাফরুল থানা জনগণ সকল পেশার জনগণ অতিষ্ঠ ।
কে এই বাবু ওরফে চামাইরা বাবু , তার অবস্থান কাফরুল থানার আওতাধীন, স্মরণিকা, হাজির গলি, ঝিলপাড় বিভিন্ন সময় তাকে পাওয়া যায়, এবং দেখাও যাচ্ছি মাদক ব্যবসায়ী ও সহ তার টেন্ডারবাজি এবং চাঁদাবাজি সহকারী একের পর এক অপকর্ম রাম রাজ্য কায়েম করছেন।
ওই এলাকার হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন,এলাকায় চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত আছে তিনি দেশ স্বাধীন হয়েছে আমরা এমন অপকর্ম কি দেখব কিংবা শুনব এটা আমরা মানতে পারব না। নাম প্রকাশ অনিচ্ছু তথ্যসূত্রে জানা যায়। তাকে ইন্ধন দিচ্ছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৬ নং ওয়ার্ড এর সাধারণ সম্পাদক মিজানের ছত্রছায়ায় এই অপকর্ম করেই বেড়াচ্ছেন এই বাবু ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপ , শুধু তাই নয় সে একটি কিশোর গ্যাং নিয়ে রাম্রাজ্য কায়েম করতেছেন ।
তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী বা বাড়িওয়ালাদের কাছে মোবাইলে বা সরাসরি চাঁদা দাবি করেন। যদি কেউ চাঁদা না দিলে তাদেরকে নানাবিধ হুমকি দেয় বলেন এই মহল্লায় থাকতে গেলে মাগার আমগো চাঁদা দিতে হইব না হইলে খবর আছে , এটা মিজান ভাইয়ের আদেশ নয়তোবা একটা ঠুষ দিব ।একবার শেষ হয়ে যাবি গা ? তার আশা ও ভঙ্গি যেন মনে হচ্ছে কোন কোন ছবি ভিলেনের মতন। এমনই একজন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান আশিক তিনি বলেন,বাবু ওরফে চামাইরা ও তাদের সহযোগীরা আশিকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ০২/০২/২০২৫ ইং তারিখে , না দিলে হত্যার হুমকি দেয় যদি ২-১ দিনের ভিতরে টাকা না পাইলে বুঝিস তো কি হইবো।
৪-৫ দিন ধরে ফোনে এই দাবি করে আসছিল, পরবর্তীতে ০৯/০২/২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ৪ টা ৪০ মিনিটে যুবদলের অফিস থেকে অস্ত্রের মুখে ৮-১০ জন মিলে মোঃ আশিকুর রহমান আশিককে জিম্মি করে নিয়ে যায়। জিম্মি করে একটি কনস্ট্রাকশন কাজ করা বিল্ডিং এ নিয়ে হাত এবং চোখ বেঁধে নির্যাতন চালায়। গলায় রশি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝুলাই রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ থেকে দেড় ঘন্টা নির্যাতনের পর ভুক্তভোগীকে ঝিলপার মোস্তাকের রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পুনরায় মারধর করা হয়।
একপর্যায়ে চিল্লাচিল্লি শুনে যুবদলের নেতাকর্মীরা এবং এলাকাবাসী ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এই ব্যাপারে কাফরুল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী জানায়। বর্তমান সরকার চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসায়ীকে জিরো টলারেন্স হিসাবে দেখছেন, এলাকার বিভিন্ন জনগণের কাছ থেকে তথ্য এবং ভিডিও রেকর্ড নিয়ে জানা যায় অত্র এলাকায় বাবু ওরফে চামাইরা বাবুর কারণে অতিষ্ট এলাকার মানুষ। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছে মোঃ আলী হোসেন বাবু, সজল, আরিফ, তারা, লিমন, আতিক,লেবু বাবু, রাসেল, রাকিবরা।
অনেকের নামে আগে থেকেই হত্যা এবং চাঁদাবাজি মামলা আছে বলে এলাকাবাসী জানায়। একজন ভুক্তভোগী দাবি করে বাবু ওরফে চামাইরা বাবুর নামে কাফরুল থানায় ২৯টা মামলা আছে ১৪ টা মামলার এখনো ওয়ারেন্ট আছে। এখনো সে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে, তাকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকাবাসীর। ওই এলাকার লোকজন বলেন দাবি আমাদের একটাই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ যে দলেরই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। নয়তোবা আমরা এই এলাকার বসবাস করতে খুবই কষ্টকর হবে , নয়তোবা আমাদের জীবন নিয়ে খুব সংকটে আছি।
রাজধানীর মিরপুর কাফরুল থানার ওসি এবং সিটিএসবি কে জানানো হলে তারা আসামিদের এরেস্ট করার চেষ্টা চলছে বলে জানান।