উজ্জ্বল মিয়া:
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ক্ষুদিরামপুর বাইপাসে আব্দুর রহমান হোটেলে চাঁদা না পেয়ে হোটেল ভাংচুর, অর্থ লুট ও ম্যানেজার-কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় এজাহারনামীয় ১। আলিফ (২২), পিতা- আঃ লতিফ, সাং- খাকজানা ফুচুকিয়া; ২। মোঃ রিফাত (২০), পিতা- আরজু, সাং- ক্ষুদিরামপুর; ৩। অর্মি (১৯), পিতা- আঃ রহিম, সাং- খারজানা; ৪। মোঃ রাহাত (২১), পিতা- গুতু মিয়া, সাং- ক্ষুদিরামপুর এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন হোটেলের ম্যানেজার মোঃ উজ্জ্বল, পিতা- মৃত আবুল হোসেন, মাতা- মোছাঃ রুপা বেগম, সাং- কাহেতা, খানা- গোপালপুর, জেলা- টাঙ্গাইল। মামলা নম্বর ২৪/২৫ ইং।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ৩টার সময় ক্ষুদিরামপুর বাইপাসে আব্দুর রহমান হোটেল ভাংচুর ও অর্থ লুটসহ মারধরের ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২-৩ মাস যাবৎ উক্ত বিবাদীগণ আমাদের দোকানে এসে চাঁদা দাবি করে। আমরা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাদের দোকানের খাবার খেয়ে চলে যায়। টাকা চাইলে আমাকে ও দোকানের অন্যান্য কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৭/১০/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকায় উল্লেখিত বিবাদীগণ টাঙ্গাইল সদর থানাধীন ক্ষুদিরামপুর বাইপাস সাকিনস্থ “আব্দুর রহমান হোটেল”-এ প্রবেশ করে আমার নিকট ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১নং বিবাদী জানায়, এখানে ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে চাঁদার টাকা দিতে হবে; না হলে দোকান বন্ধ করে চলে যেতে হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
অতঃপর ২নং বিবাদী দোকানের সাটার বন্ধ করার চেষ্টা করলে আমি বাধা দিলে তারা বেআইনি জনতাবদ্ধে দেশীয় তৈরি অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এসময় দোকানের ভিতরে থাকা অন্যান্য কর্মচারীরা এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
পরে ১, ২, ৩ ও ৪নং বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে দোকানের সব গ্লাস, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে, যার ক্ষতির পরিমাণ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা। এছাড়া ১নং বিবাদী ক্যাশবাক্সের তালা ভেঙে ১,৫৫,৪০০/- (এক লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার চারশত) টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভির আহম্মেদ জানান, করটিয়া ক্ষুদিরামপুর বাইপাসের আব্দুর রহমান হোটেলে চাঁদা না পেয়ে ভাংচুর ও অর্থ লুটের যে ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।