বুয়েট ও গাজীপুরের ধর্ষণ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন শায়েখ আহমদুল্লাহ

মোঃ আনজার শাহ:

বুয়েট ও গাজীপুরে সংঘটিত দুইটি ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে কণ্ঠ তুলেছেন দেশের প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা শায়েখ আহমদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, “তথাকথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম নারীদের ওপর ধারাবাহিক ধর্ষণ চলছে, অথচ প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ছে না।”

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, বুয়েটের শিক্ষার্থী কর্তৃক এক তরুণীকে অজ্ঞান করে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, এটি শুধু ব্যক্তিগত অপরাধ নয়, বরং একটি সাম্প্রদায়িক ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ।

তিনি আরও বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই শিক্ষার্থীর নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য স্পষ্ট করে, এদের উদ্দেশ্য শুধু নারীকে অপমান নয়; বরং সমাজে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ছড়ানো।”

গাজীপুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন, অন্যদিকে গাজীপুরে ১৩ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় শায়েখ আহমদুল্লাহ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তার অভিযোগ, প্রশাসনের কিছু সদস্য ঘটনাটিকে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ বলে হালকা করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, “আইনে ১৬ বছরের কম বয়সী মেয়ের ক্ষেত্রে সম্মতি থাকলেও তা ধর্ষণ হিসাবেই গণ্য হয়। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে যারা এত সোচ্চার, এই শিশুর প্রতি অন্যায়ে তাদের নীরবতা কেন?”

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন
বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে অভিযুক্তের ছাত্রত্ব বাতিল ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। সহপাঠীরা ঘোষণা দিয়েছে, অভিযুক্তের সঙ্গে তারা কোনো ক্লাসে অংশ নেবে না।

শায়েখ আহমদুল্লাহ এই আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমরা বুয়েট ও গাজীপুরের ধর্ষকদের তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি তথাকথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলে সাম্প্রদায়িক ধর্ষণ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

সচেতন মহলের প্রত্যাশা, এই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন মহল থেকেও দ্রুত ও কার্যকর প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভাঙতে এখনই কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *