কাউখালী উপজেলা থানা বিএনপি হয়ে উঠছে জাহাঙ্গীর—মোতালেব নেতৃত্বে সন্ত্রাসের আখড়া।

রাজীব আহমেদ:

রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী থানা বিএনপি নেতাদের একের পর এক অপকর্ম বের হয়ে আসছে। জানা যায় কাউখালী থানা বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব এর নিজস্ব সংবিধানে চালাছে বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে দখলদারি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি। গত ৫ অগাস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পরে কাউখালী উপজেলা বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করছে সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব এর তৈরি করা নিজস্ব সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট।

এদিকে কাউখালীতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ঠিকাদারী কাজ বন্ধ করে দেয় কাউখালী থানা বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী, তাদের দাবি হলো সকল রকমের উন্নয়নমূলক কাজ তারা করবে না হয় ওদেরকে চাঁদা দিয়ে কাজ করতে হবে, এই নিয়ে গত কিছু দিন চলমান কাউখালী বাজার জামে মসজিদের মিম্বারের কাজ ও হাতি মারা টু ঝুলন্ত সেতু সড়কের কাজ থেকে চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় একদল সন্ত্রাসীগোষ্ঠী মাধ্যমে। এই বিষয় পত্রিকায় রিপোর্ট করার পর উন্নয়ন কাজ তদারকিতে থাকা সংশ্লিষ্ট মাজি ইউনুছকে গতকাল সন্ধ্যায় মারধর করে রাস্তাই পেলে যাই।

পরবর্তীতে এলাকার সাধারন মানুষ এর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে কাউখালী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিকেলের ডাক্তার এর সাথে কথা বলার পরে যানা যায় তার ডান হাতে ভারী কিছু দিয়ে মারার কারণে হাত ভেঙ্গে যাই ও মাথায় এবং শরীরের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হয়, যার কারণে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে রাতের রেফার করি।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে গিয়ে ইউনুছ এর সাথে কথা বলার পরে সে ঘটনাটির বিষয় বলে গত ০২ দিন আগে কাউখালী আর্মি ক্যাম্প এ কাজগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিষয় আমার ঠিকাদার হাইদার অভিযোগ করে তার কারণে আমাকে ও কাউখালী থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেবকে আর্মি ক্যাম্প ডাকা হয় মোতালেব আমাকে যাওয়ার সময় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে আরো বলে আমি কাজটা নিয়ে বেশী বারা বারি করি আমার জন্য নাকি মোতালেব কাজ টা নিতে পারে না, সে আরো বলে গত কাল রাতে কাজ শেষ করে আমার ঠিকাদারের সাথে দেখা করে আসার সময় ১০ থেকে ১৫ জন আমার উপর হামলা করে তাদের ভিতর কয়েক জনকে আমি চিনি তাদের নাম রিপন, আরিফ, ফারুক, মুরাদ, ইউনুছ সহ আরো কয়েক জন ওরা বলে থানা বিএনপির সভাপতি— সম্পাদকে চাঁদা না দিয়ে কি জন্য কাজ চলে, এসব বলে আমাকে অনেক মারধর করে এবং মেরে ফেলার চেষ্টা করে।

এই বিষয় ঠিকাদারের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল এ চেষ্টা করার পর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাই। এ সকল বিষয় কাউখালীতে বিভিন্ন মানুষ ও বিএনপরি বিভিন্ন নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায় কাউখালী উপজেলা সদরে অবস্থিত কাউখালী লেক ইজারাদার হিসেবে যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার। কিন্তুগত ৫ অগাস্ট এইলেক দখল করে নিয়েছে জাহাঙ্গীর—মোতালেব এর ক্যাডার বাহিনী। লেকের বিষয় আরো জানা যায় থানা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার এর সাথে ১ খানা চুক্তি হয়, চুক্তিতে এরশাদ সরকার কাউখালীতে বিগত ১৫ বছর এলাকায় যে সকল অত্যাচার অবিচার করেছে তার জন্য তার উপর কোন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে না।

উল্লেখ করা হয় যে, লেকের ৭০% কাউখালী থানা বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর ওসাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব এর বাকি ৩০% এরশাদ সরকার এর থাকবে। তারা আরো বলেন গত ০৪—১০—২০২৪ ইং লেকে মাছ ধরার জন্য ছিপ পেলা হয়। প্রতিটি আসন ৫ হাজার, ৭ হাজার, ৮ হাজার করে বিক্রি করা হয়, এ সমস্ত বিষয় গুলো পরিচালনা করেন কাউখালী থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মিলাদ হোসেন এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুরগি হাসেম। তাছাড়া তারা আরো বলেন বিগত সময়ে সক্রিয় আওয়ামী নেতাদের এলাকাতে আশ্রয় দেয়া ও সম্পদ ক্ষয়ক্ষতি না হবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলমান উন্নয়নমূলক ঠিকাদারী কাজের বন্ধ করেও দেওয়া হয়, তারা বলেন জাহাঙ্গীর—মোতালেব অনুসারী’রা প্রথমে গিয়ে বাঁধা দেয়। পরবর্তী’তে ঠিকাদার’দের সাথে জোর পূর্বক চুক্তি করেন উক্ত ঠিকাদারি সাইটগুলোতে জাহাঙ্গীর—মোতালেব অনুসারী’রা কাজ পরিচালনার সুযোগ হাতিয়ে নেন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে। তবে এই কাজগুলো হাতিয়ে নিলেও কাজ পরিচালনার সুযোগ কোন তৃণমূল কর্মী পায় না, কাজ পরিচালনার সুযোগ হয়ে উঠে সভাপতি জাহাঙ্গীর সাধারণ সম্পাদক মোতালেব ও তার নিকটাত্মীয়ের দিয়ে করা সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার এর অন্যায় ভাবে দখল করা গড়ে তোলা বাগান বাড়ি, সোয়া মিল, খামার বাড়ি এসব পাহারা দিচ্ছেন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব, এলাকার মানুষ আরো বলেন কাউখালীর এক মাত্র কাঠ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এর নামে চাঁদা আদায় করে আসছে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব এর অনুসারীরা। এ বিষয় তাদের সন্ত্রাসী ও সিন্ডিকেট বাহিনীদের বেশ কয়েক বার প্রশাসন ধরে নিলে থানা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।

এমন কার্যক্রমে অতিষ্ঠ কাউখালী উপজেলার সাধারণ মানুষ ও উপজেলা বিএনপির প্রকৃত কর্মীরা জনমতের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে কাউখালীর সাধারণ বাসিন্দা বলে, ক্ষমতার পদ পরিবর্তনে পুরো দেশের চিত্র পাল্টাতে শুরু করলেও এখানকার চিত্র ভিন্ন। শুধু মানুষ বদল হয়েছে কিন্তু মারামারি, হানাহানি, চাঁদাবাজি দখল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কাউখালী বাসিন্দারা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাঙ্গামাটি জেলার সভাপতির সাথে কথা বলার পর সে বলেন আপনারা জানেন বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দিচ্ছে দলের সংবিধান বহিঃভূত সকল কার্যক্রম হতে বিরত থাকার প্রসঙ্গে, তবে যদি কেউ এ ধরনের কাজের সাথে লিপ্ত থাকে তাহলে দল থেকে বহিষ্কারের কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন এসকল বিষয় আমরা তদন্ত করে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *