নিজাম উদ্দিন :
বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকা হতে ০৯টি ম্যাগাজিন ও ৫টি বিদেশী পিস্তলসহ মোট ১৭টি দেশী—বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার, ০২টি পিকআপ জব্দসহ আটক ০৫।
নোয়াখালী জেলাকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি সন্ত্রাসী চক্র বিপুল পরিমাণে অস্ত্র গুলি মজুদ করার চেষ্টা করছে এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, অস্ত্র ও মাদকের একটি বড় চালান নোয়াখালী জেলায় আসবে। অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল ফারুক পি পি এম সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব নাজমুল হাসান রাজিব পিপিএম (বার) ও অফিসার ইনচার্জ বেগমগঞ্জ মডেল থানা,লিটন দেওয়ান এর নেতৃত্বে বেগমগঞ্জ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কৃষ্ণ কুমার দাস, এসআই স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ, এসআই ফিরোজ আহাম্মদ, এসআই মোঃ মাহবুব হোসেন, এসআই সুদীপ্ত নাথ দীপ্ত, এসআই কুতুব উদ্দিন খান লিয়ন, এসআই আবদুল্লা আল রিয়াদ, এএসআই আবদুল মোতালেব এবং সেনবাগ থানার এসআই মোজাম্মেল ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ সেনবাগ থানাধীন সেবারহাট বাজারের সায়েদ প্লাজা এর সামনে নোয়াখালী—ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর চেকপোস্টের মাধ্যমে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশী করা শুরু করে। চেকপোস্ট পরিচালনা করা অবস্থায় ০৫/১১/২০২৪খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক রাত ০১.০০ ঘটিকার সময় ০১ জন আসামীকে ১২(বার) কেজি গাঁজাসহ পিকআপ আটক করা হয় এবং রাত আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকার সময় অপর একটি পিকআপ থেকে পলিথিন প্যাকেটে লুকানো অবস্থায় ১০(দশ) টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে ০৩ জন আসামীকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে অস্ত্র বহনকারী আসামীদের থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা জানায় যে, ৩—৪ দিন পূর্বে সোনাইমুড়ী থানাধীন দেওটি ইউনিয়নের দেওটি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের একজন ব্যক্তির নিকট তারা আরো কয়েকটি অত্যাধুনিক পিস্তল সরবরাহ করেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোনাইমুড়ীর জনৈক বাহার, পিতা—সাইফুল আলম মানিক নামে সনাক্ত করা হয়। সনাক্ত করার পরে সোনাইমুড়ী থানাধীন দেওটি গ্রামের আকরাম উদ্দিন হাজী বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ বাহারকে আটকপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে উক্ত আসামী তাহার নিকট ৩—৪ দিন পূর্বে অপরাপর আসামীদের দেয়া অবৈধ অস্ত্র—গুলি রাখার কথা স্বীকার করে এবং জানায় উক্ত অবৈধ অস্ত্র—গুলি গুলো সে একই বাড়ির জনৈক জাফর মিয়ার বিল্ডিং এর নিচতলার একটি কক্ষে রেখেছে। বাহার—এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকেসহ প্রবাসী জাফর মিয়ার বসতঘরে অভিযান পরিচালনা করে দোতলা বিল্ডিং এর নিচতলার রান্নাঘরে প্লাস্টিকের বালতিতে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ০৯(নয়) টি ম্যাগাজিন সহ ০৫(পাঁচ) টি বিদেশী পিস্তল, ০২(দুই) টি দেশীয় তৈরি এলজি এবং ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার সংক্রান্তে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানায় আলাদা আলাদা মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম: বাদল হোসেন (২১), পিতা—বাবলু, মাতা—মৃত আমেনা বেগম, সাং—ছয়ানী টবগা (বড় ভূঁইয়া বাড়ি), ৯নং ওয়ার্ড, চাটখিল পৌরসভা, ২। মোঃ রবিন (২৮), পিতা—মৃত আব্দুস সাত্তার, মাতা—মৃত নুর জাহান, সাং—রুইতখালী (আমির উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ি, ২নং ওয়ার্ড, রামনারায়নপুর ইউপি, উভয় থানা—চাটখিল, জেলা—নোয়াখালী, ৩। মুরাদ হোসেন (২২), পিতা—মৃত জাহাঙ্গীর আলম, মাতা—খোদেজা বেগম, সাং—সৈয়দপুর (জমির উদ্দিন হাজী বাড়ি), ৫নং ওয়ার্ড, ১নং বাগমারা উত্তর ইউপি, থানা—লালমাই, জেলা—কুমিল্লা, ৪। মোঃ বাহার (৩০), পিতা—সাইফুল আলম মানিক, সাং—দেওটি (হাজী বাড়ি), ৯নং দেওটি ইউপি, থানা—সোনাইমুড়ী, জেলা—নোয়াখালী,
গাঁজা সহ আটক:
৫। আনোয়ার হোসেন (২৬), পিতা—কামাল হোসেন, মাতা—ছালেহা আক্তার, সাং—হাজীপুর (উজির আলী বেপারী বাড়ি), ৬নং ওয়ার্ড, ১৪নং হাজীপুর ইউপি, থানা—বেগমগঞ্জ, জেলা—নোয়াখালী।
৫। মামলার বিবরণ: অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার সংক্রান্তে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানায় আলাদা আলাদা মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।