ওসি জায়েদ নুরের মানবিক ও চৌকস নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে পুরো এলাকা

স্টাফ রিপোর্টার: 

চট্টগ্রামের পটিয়া থানা থেকে বদলি হয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় যোগদানের পর থেকেই চৌকস ওসি জায়েদ নুর যেন নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছেন টেকনাফের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থায়। থানায় যোগদানের প্রথম দিন থেকেই তাঁর কাজকর্ম, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কঠোর অপরাধ দমনের কৌশলে যেন পাল্টে যেতে শুরু করেছে পুরো অঞ্চল। একে সবাই বলছেন—”ওসি জায়েদ নুরের অসাধারণ কর্মযজ্ঞ”।

ওসি জায়েদ নুর যোগদানের পরপরই টেকনাফের বিভিন্ন গ্রাম ও এলাকায় চালান ধারাবাহিক অভিযান। গ্রেপ্তার হচ্ছেন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা, বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিরা। ছোট-বড় অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে অপরাধীদের। থানার এ ভূমিকা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বোধ যেমন বাড়াচ্ছে, তেমনি অপরাধীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে ভয়ভীতি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “ওসি জায়েদ নুর থানায় যোগদানের পর থেকেই টেকনাফের চেহারা বদলে গেছে। শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। মাদকবিরোধী অভিযানে তাঁর অদম্য উদ্যোগ দেখে আমরা খুবই আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।”

এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক কামরুল ইসলামকে ওসি জায়েদ নুর বলেন, “পুলিশ জনগণের বন্ধু—এই নীতিতে বিশ্বাস রেখেই কাজ করছি। পুলিশের ইউনিফর্ম পরার পর থেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের দায়িত্ব, আর জনগণের আস্থা অর্জনই আমাদের প্রাপ্তি।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশ বাহিনীর কোনো অর্জনই ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। যা কিছু সম্ভব হয়েছে, তা এসেছে থানার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক দিকনির্দেশনা থেকে।”

টেকনাফ থানার এই রূপান্তর এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এই পরিবর্তনের ইতিবাচক প্রভাব অনুভব করছেন। সেইসঙ্গে বেড়েছে পুলিশের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা।

জনগণের আস্থা অর্জন করে মাদকমুক্ত, শান্তিপূর্ণ টেকনাফ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসা ওসি জায়েদ নুরকে তাই অনেকেই বলছেন—”এক অসাধারণ মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা” এবং “জনগণের প্রকৃত বন্ধু”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *