তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে অন্যতম জোয়া 1XBET- প্রতিকার চাই অবিভাবকগণ

স্টাফ রিপোর্টার :

দেশে তরুণ সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে (1XBET) ওয়ান এক্সবিট নামক এই জোয়া। তার মধ্যে চোখে পড়ার মতো অন্যতম টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া গ্রামের বেশিরভাগ তরুণদের মোবাইলে এই জোয়ার অ্যাপটি দেখা মিলে। যার পিছনে টাকা পয়সাও সময় নষ্ট করে চুরি, ডাকাতিসহ মাদকে আসক্ত হয়ে জীবন শেষ করছে অনেকে।

এই জোয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্র /ছাত্রীসহ তরুণরা। বর্তমানে আসক্ত তরুণরা লেখাপড়া থেকে সরে যাচ্ছে কর্মজীবন ত্যাগ করে হচ্ছে বাবা মায়ের অবাধ্য।ওয়ান এক্সবিট নামক জোয়ায় একবার যে আসক্ত হয়ে পড়েছে তার জীবনে অন্ধকার নিশ্চিত বলে মনে করেন শিক্ষিত সচেতন সমাজ ও নেটিজেনরা।

এই অ্যাপ এর মূল এজেন্ট যাকে বলে মাস্টার এজেন্ট হিসেবেএকটি উপজেলায় থাকে হাতে গনা দুইএকজন। তার মধ্যে সাবরাং কাটাবনিয়া গ্রামে রয়েছে অনেকজন। তারা হলেন , আবুটারের ছেলে সাইদুর রহমান,  মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে রহমত উল্লাহ, আব্দুর রহিমের ছেলে জাহাঙ্গীর, মোবারক বইদ্দের ছেলে সরওয়ার, ছেলে এমরান, মৃত সোনাআলীর ছেলে রফিক ও সোয়াইব সহ অনেকে।তাদের রয়েছে দুই একশত শাখা এজেন্ট। এই শাখা এজেন্টদের কাজ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার লোভ দেখিয়ে জোয়া খেলার জন্য সদস্য বাড়ানো। তবে এই জোয়ায় আসক্ত যে হয়েছে তার জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। তেমনি একজন ভুক্তভোগীর বাবা কাটাবনিয়া গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, আমার মেজ ছেলে মোঃ ফয়াজ দীর্ঘদিন ধরে আমার সাথে মাছ ব্যবসা করে আসছে। যেদিন মাছ না পায় সেইদিন সেই নিজে মাছ ধরে এনে বাজারে বিক্রি করে বাড়িতে টাকা এনে দেয়।বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি সেই আগের মতো কাজ কর্ম ও ব্যবসায় সময় দিচ্ছে না। বাড়ির সবার সাথেও খারাপ আচরণ শুরু করেছে। তার কারণ খুজতে গিয়ে শুনি তার কাছ থেকে নাকি অনেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা পাই। কি জন্য নিয়েছে জানতে চাইলে উঠে আসে ওয়ান এক্সবিট নামক একটি জোয়ার নাম। এখন আমার ছেলেকে কোনোভাবে আগের মতো কর্ম জীবনে ফিরে আনতে পারছিনা। অপরদিকে আবুলের ছেলে জসিম প্রকাশ বাইট্টা কালুসহ অনেক পরিবারের একি অভিযোগ। কাটাবনিয়া এলাকার সকল সচেতন নাগরিক ও অবিভাবকেরা সকল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন যেন দ্রুত এই ওয়ান এক্সবিট প্রচারকারী জোয়ার এজেন্টদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে এবং যব সমাজকে এই জোয়া থেকে মুক্তি দেয়। অন্যতায় টাকা দিতে না পারলে সন্তানদের হাতে মানসম্মান হারাতে পারে এমন অভিযোগও করেন অবিভাবকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *