মোহাম্মদ সাইদ :
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন ।বরাবরের মতো এবারও শোকাবহ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে বিএনপি। এ উপলক্ষে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে মিলাদ-মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন স্পটে দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বৃস্হপতিবার (৩০ মে) সকাল ১০.৩০মি. শাক্তা ইউনিয়নের শিকারিটোলা মডেল উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি। এসময় প্রধান অতিথি ব্যক্তব্যে তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে নির্মমভাবে নিহত হন।
২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা পরিচালিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ২০ জন শ্রেষ্ঠ বাঙালির মধ্যে জিয়াউর রহমানের নাম ১৯ নম্বরে উঠে আসে। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এছাড়া তিনি সাবেক সফল তিন বারের প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্হতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান এছাড়া তিনি আগামি রাষ্ট নায়ক তারেক রহমানের জন্য দীর্ঘ আয়ু ও আরাফাত রহমান কোকোর জন্য দোয়ায়ে মাগফেরাত কামনা করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন মিনু,সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মো. শামীম আহসান, সহ-সভাপতি রুহল আমিন ও নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হক( মনির) সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন জাকির ও দপ্তর সম্পাদক জানে আলম সুমন, শাক্তা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহসিন মন্টু, সাধারন সম্পাদক, হুমায়ুন কবির, এছাড়া সকল অংগসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্হিত ছিলেন।