কামরুল ইসলাম:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী গ্রামে নিজ ঘর থেকে এক বিধবা মহিলার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম ফাতেমা বেগম (৫৮)। তিনি ওই এলাকার মৃত নুরুচ্ছফারের স্ত্রী। সোমবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগম ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পাশাপাশি ঝাড়ফুঁক ও পানিপড়া দিতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি একা একটি কুঁড়ে ঘরে বসবাস করছিলেন।
সোমবার মাগরিবের সময় এক মহিলা পানিপড়ার জন্য তাঁর বাড়িতে গেলে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে অন্যান্যরা গিয়ে দরজা খুলে উপুড় হয়ে থাকা ফাতেমার নিথর দেহ দেখতে পান। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় পারভিন আক্তার নামে এক মহিলা জানান, বিকেলে পানিপড়া ও ঝাড়ফুঁক নিতে তিনি ফাতেমার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ফিরে যান। পরে সন্ধ্যায় তিনিসহ তাঁর স্বামী পুনরায় বাড়িতে গেলে দরজা বন্ধ দেখতে পান। দরজা খোলার পর তারা ঘরে ঢুকে ফাতেমাকে উপুড় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং বিষয়টি স্থানীয়দের জানান।
গ্রামের বাসিন্দাদের ধারণা, টাকার লোভে চোর ঢুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়েছে। এর আগেও প্রায় এক মাস আগে তাঁর বাড়িতে ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে বিচার-শালিসও হয়েছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ ইউনুস জানান, নিহত ফাতেমা বাড়িতে একা থাকতেন। বৃদ্ধার সাথে ঝাড়ফুঁক ও ভিক্ষার টাকার কিছু থাকলেও মরদেহ উদ্ধারকালে টাকা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই টাকা নিতে গিয়ে বৃদ্ধাকে বাধা দিলে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
পেকুয়া থানার এসআই উগ্যজাই মারমা সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, মরদেহের গায়ে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও কানের কাছে ও গলার নিচে রক্ত জমাট চিহ্ন রয়েছে।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।