মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী, ব্যুরো চিফ
বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ মোট ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনসহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি। এর একটি বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য বিএনপিকে কিছু আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটি আসন ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। বিএনপির মিত্র জোটের একাধিক নেতা জানান, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল, তবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তারা আশা করছেন, শিগগিরই আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে।
অন্যদিকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। তখন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি, এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাসেমী ঐ আসনে নির্বাচন করেন।
২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারণা করা হচ্ছে, জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন।
শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি যদি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আমিন—এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।